Academia.edu no longer supports Internet Explorer.
To browse Academia.edu and the wider internet faster and more securely, please take a few seconds to upgrade your browser .
Enter the email address you signed up with and we'll email you a reset link.
- We're Hiring!
- Help Center
Download Free PDF
Seven Heroes of Bangladesh/বাংলাদেশের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ
2017, Bangladesh 1971
In the Liberation war of Bangladesh, 1971 against Pakistan every freedom fighters contribution is undeniable. Each second in the time of war has one or more story on about the mass people, environment, and the persons who fight for the independent of Bangladesh.
Related papers
Bangladeshi people fought and gained their freedom against Pakistani military rulers after 9 months of a bloody sacrifice. The word liberation means freedom and this freedom cost Bangladesh 3 million martyrs life. The liberation war of Bangladesh and getting independence from Pakistan is the remarkable achievement for the Bangladeshi people. Besides liberation war in 1971 is the key to the unity of the people of Bangladesh. For being a remarkable achievement and key to unity for the Bangladeshi people it has some historical background.
The Diplomat , 2021
American Research Journal of History and Culture, 2020
India Quarterly: A Journal of International Affairs
Both the Bangladesh state and society are yet to settle the questions over and narratives related to the Liberation War of 1971. Broadly, there are two groups with contradictory and conflicting interpretations of the events related to that war. This has also led to the mushrooming of militant groups in the country. The beginning of trial of perpetrators of Liberation War crimes since 2010 and the execution of a few of the leaders has further polarised the society and politics of Bangladesh. The existing debates over the Bangladesh Liberation War cannot be studied without looking into the roles of India and Pakistan. The two countries have their own interpretations and political fallout of the 1971 liberation war.
CenRaPS Journal of Social Sciences
The aim of this paper is during the post war how war heroines were treated what we can do for them. In 1971 women played a very important role during the war. Bangladesh sacrificed a lot of things for her independent. About three million people were killed & 4.50 lakh women were brutally raped by the Pakistani Army & their collaborators. During the war, Women made history. They had sacrificed their dignity, beloved son, husband & their life. Some of the brave women joined the Frontal & Gruella war, some provided food, shelter & medical treatment. But nowadays they were not recognized. During the post war they became remain in darkness. After the war their war didn't stop. They fought against their life, family even society. But father of the nation Bangabandhu acknowledged as a 'Bironggona' (Brave women). Only two women were endowed ' Bir Partik'. But gradually these women didn't have any facilities what they wanted. Some faced money problem, some oppressed t...
Asian Studies, Jahangirnagar University Journal of Government and Politics, 2015
Liberation War of Bangladesh is indeed a unique episode of her history. The people of Bangladesh rallied behind the Liberation Forces to fight a war spearheaded by the Bangladesh Army. The Bangladesh Army played an important role throughout the Liberation War involving in the declaration of independence, frontal attack against the occupation army of Pakistan, formation of Mukti Fouz, making the war strategy along with the division of the whole country into 11 sectors, formation of three brigades and training of the Mukti Bahini (freedom fighters) at various training centers. The main objective of the article is to analyze the role of Bangladesh Army in Liberation War. This study shows why and how army participated in Liberation War and their participation in the decision making processes during the war. The study is based on secondary data, i.e. books, journals, newspapers and magazines.
The liberation of Bangladesh is an historical event that has constructed the Bangladeshi sense of nationalism and the contemporary Constitution. Since the liberation, the growth rate of the GDP of Bangladesh is currently higher than that of Pakistan’s and is projected that Bangladesh will continue outrunning Pakistan. To understand Bangladeshi politics and the socio-economic sphere, it is necessary to analyse the history of Pakistani colonialism and events surrounding the 1971 Liberation War that turned Bangladesh into a sovereign State
"If blood is the price of independence,Bangladesh has paid the highest price in the history"-(London Times 1971) This paper quests to know the sacrifices of women in the liberation war of Bangladesh in 1971. Whenever we conceive the participation of women in the liberation war we only envision the women who were censured and raped. But women also participated in the war as fighters, helping hands, cookers, messengers, Diplomats, Inspiration, medical assistants and also as mothers. Most of the woman in Bangladesh participated in the war sometimes directly and sometimes indirectly. Some of our heroines also joined in the front war, among them two women had been awarded as "Bir Pratik". We know our Liberation war was not an abrupt matter, so the participation of women in liberation war was also not an astonishing thing. If we see the mounting of liberation war, we can see women had participated all the movements as like-Language movement in 1952, The Education Movement in 1962, The six points movement in 1966, The Mass Upsurge in 1969, The Pakistani General Election in 1970, 7 th March speech in 1971 at the Race Course Ground. So it was a general matter for women to participate the liberation war. But they had not been recognized according to their sacrifices. They are only Recognized as a ravished woman. The women who forsaken their lives and were raped by the Pakistani Army and their collaborators, we could never recognize them what they deserve. About 4 lakhs and 50 thousand women were abused by the Pakistani Army and their collaborators. So it must be said that women had a great contributions in our liberation war as like as men. So women who participated in our liberation war in any ways, should be given due respect and recognition imitating to their devotion. This paper has endeavoured to present the sacrifices and devotion of women in the liberation war of Bangladesh..
Quaternary Research, 2024
Tạp chí Y học Việt Nam
Alcoholism: Clinical and Experimental Research, 2015
Iran and the Caucasus, 2023
Brain imaging and behavior, 2015
Environmental Entomology, 2015
Lecture Notes in Computer Science, 2013
Journal of Literature and Aesthetics , 2024
Marine Policy, 2018
Canadian Journal of Chemistry, 1975
Bauen 2023. Dokumentation des Konferenzprogramms und des Formats “Talk am Tresen” während der BAU 2023, BMWSB (ed.), 2024
Related topics
- We're Hiring!
- Help Center
- Find new research papers in:
- Health Sciences
- Earth Sciences
- Cognitive Science
- Mathematics
- Computer Science
- Academia ©2024
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম রচনা, India’s Freedom Struggle essay in Bengali
১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটিয়ে আমাদের ভারত এক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পায়। ভারতমাতার বহু বীর সন্তান তাদের বিপ্লবী রক্তের বিনিময়ে দীর্ঘ সংগ্রাম করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তাই এই দিনটি আমাদের সকলের কাছে একটি গর্বের দিন। স্বাধীনতা আমাদের সকলের কাছেই এক পরম কাঙ্ক্ষিত বিষয়। তবে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে বহু তথ্য রয়েছে, যা আমাদের জেনে রাখা উচিত। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে আলোচনা করবো।
ভারতের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আসার ঘটনা, The incident of coming under the chain of subjugation of India
কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন,
“ স্বাধীনতার-হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায় ? দাসত্ব শৃঙ্খল বল কে পরিবে পায় হে, কে পরিবে পায় ।।“
স্বাধীনতা ছাড়া কোন জাতিই বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। দীর্ঘ সময় ধরে পরাধীনতার শৃঙ্খলে থাকার পর ভারত স্বাধীন হতে পেরেছিল। তবে ভারতের এই স্বাধীনতা একদিনে আসেনি কিংবা কোনো অনুনয়-বিনয়ের মাধ্যমে আসেনি, বরং বহু বিপ্লবীর রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এসেছিল এই স্বাধীনতা।
দেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির এত বছর পরও ভারত মাতার বীর সন্তানদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা অটুট। ভারতবর্ষে ইংরেজরা সপ্তদশ শতক থেকে বাণিজ্য করার জন্য বসতি স্থাপন করে। তারপর তারা ধীরে ধীরে হাত বাড়ায় ভারতবর্ষে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করার দিকে। অবশেষে তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হয় যখন ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ঘটে। এই পরাজয়ের মাধ্যমেই ভারতের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়।
তারপর থেকে শুরু হয় ভারতীয়দের উপর ইংরেজদের শোষণ এবং অত্যাচার। ক্রমে সমৃদ্ধ ভারতবর্ষ থেকে সম্পদ লুট করতে শুরু করে ইংরেজরা, এভাবে ব্রিটেন ফুলে-ফেঁপে উঠতে শুরু করে। সেই সময়কালে ভারতবর্ষে দেখা দিতে শুরু করে একের পর এক মহামারী, খাদ্যাভাব, দুর্ভিক্ষ ইত্যাদি। ইংরেজ শাসন আমলে যতদিন গেছে ভারত দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়েছে।
ভারতবাসীর স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা, Indian people’s desire for freedom
ভারতবাসী জড়িয়ে পড়েছিল পরাধীনতার বেড়াজালে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ভারতীয়দের মধ্যে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা তীব্র হয়ে উঠেছিল। ইংরেজরা ভারতীয়দের মধ্যে পাশ্চাত্য শিক্ষা সংস্কৃতির বিস্তার শুরু করে, যার মাধ্যমে ভারতবাসী জানতে পেরেছে ফরাসি বিপ্লবের কথা; তখন দেশের লোকজন বুঝতে পারে সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতার গুরুত্ব।
তারপর থেকেই দেশবাসী ইংরেজ শাসকদের কাছে নিজেদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পেশ করতে শুরু করে দেয়। সেই দাবিদাওয়াগুলির অনাদায়ের ফলস্বরূপ বহুবার ভারতবাসী রাস্তায় নেমেছে, বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে, আন্দোলন করেছে শাসকের বিরুদ্ধে। এইভাবে ধীরে ধীরে ছোটো বড় বিক্ষোভ মিছিল তথা প্রতিবাদের মধ্য দিয়েই বিপ্লবীরা একসময় বৃহত্তর আন্দোলন এবং সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হয়েছে।
বিপ্লবীদের আত্মবলিদান, Self-sacrifice of revolutionaries
অনুনয়-বিনয় এর মাধ্যমে বা দাবি-দাওয়া পেশ করে নয় বরং দীর্ঘ ১৯০ বছর ধরে স্বাধীনতালাভের চেষ্টায় বহু রক্ত ঝরেছে দেশজুড়ে। ব্রিটিশ শাসকদের শোষণের নাগপাশ দেশের উপর যখন তীব্র হয়ে চেপে বসেছিল তখন থেকেই ভারতবর্ষের মধ্যে ধীরে ধীরে ক্ষোভ দানা বেধেছে। এই ক্ষোভের প্রথম বহিঃপ্রকাশ দেখা দেয় ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের মাধ্যমে। মঙ্গল পান্ডে ব্যারাকপুর সেনাছাউনিতে বিদ্রোহের আগুন জ্বেলে দিয়েছিলেন।
তিনিই ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম শহীদ। তারপর থেকেই দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ধীরে ধীরে বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। স্বাধীনতা লাভের আগে পর্যন্ত ইংরেজরা কোনোভাবেই আগুনকে নেভাতে পারেনি নি। দেশপ্রেমের এই আগুনে জাতিকে স্বাধীন করার আকাঙ্ক্ষায় একে একে আত্মাহুতি দিয়েছেন ক্ষুদিরাম বোস থেকে শুরু করে ভগৎ সিং অবধি বহু বিল্পবী।
স্বাধীনতার জন্য ব্যাপক গণ-আন্দোলন, Massive mass movement for independence
বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক থেকে গান্ধীজীর হাত ধরে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সমগ্র দেশের মানুষ একযোগে আন্দোলনে শামিল হয়। গান্ধীজীর অহিংসা ও সত্যাগ্রহের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসেন অনেকেই। ক্রমে সমগ্র দেশ জুড়ে একের পর এক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে; যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল অসহযোগ, আইন অমান্য এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলন।
উক্ত আন্দোলনগুলোতে ভারতবর্ষ হারিয়েছিল বহু বীর সন্তান। অন্যদিকে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন। দেশের মানুষজন দুই হাত তুলে স্বাধীনতার এই মহান সংগ্রামকে সমর্থন জানায়। দেখতে গেলে ১৮৫৭ সাল থেকে স্বাধীনতা লাভ অবধি চলেছিল স্বাধীনতা সংগ্রাম।
১৮৫৭-র প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ, জালিয়াল ওয়ালাবাগ হত্যাকান্ড (১৯১৯), অসহযোগ আন্দোলন (১৯২০-২২), আইন অমান্য আন্দোলন (১৯৩০-৩৪), ভারত ছাড়ো আন্দোলন (১৯৪২-৪৪), কিষান আন্দোলন, আদিবাসী আন্দোলন, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (১৯৪৩-৪৫) প্রভৃতি বিদ্রোহী আন্দোলনের মাধ্যমে প্রাণ বলিদান দিতে হয়েছিল বহু দেশপ্রেমীকে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল ভারতবাসী।
স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নাম হল : আবুল কালাম আজাদ, ময়না কুমারী, কমল নাথ তিওয়ারি, অরুণা আসফ আলি, অরবিন্দ ঘোষ, চন্দ্রশেখর আজাদ, অ্যানি বেসান্ত, রামপ্রসাদ বিসমিল, বিনায়ক দামোদর সাভারকর, মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবি, হরেকৃষ্ণ কোঙার, মাহমুদ হাসান দেওবন্দি, হুসাইন আহমদ মাদানি, উবায়দুল্লাহ সিন্ধি, যতীন্দ্র নাথ দাস, বটুকেশ্বর দত্ত, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, গোপালকৃষ্ণ গোখলে, হেমু কালানি, হাকিম আজমল খাঁ, মাওলানা শরিয়তুল্লাহ, মাওলানা আজাদ, মাওলানা আলাউদ্দিন, মাওলানা মহম্মদ আলি ও শওকত আলি, আব্দুল মজিদ, খান আব্দুল গফফার খান, নেতা আহমাদুল্লাহ, ওবায়দুল্লাহ সিঙ্গি, হাফেজ নিশার আলি বা তিতুমীর, বীরাপান্ডিয়া, কাট্টাবোমান, আসফাকউল্লা খান, সৈয়দ আহমদ খান, লক্ষ্মী বাঈ, ভি. ও. চিদাম্বরম পিল্লাই, লালা লাজপত রায়, শিবরাম রাজগুরু, আল্লুরি সিতারামারাজু, কাজী নজরুল ইসলাম, হাজি ওসমান সইত, দয়ানন্দ সরস্বতী প্রমুখ। স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশের সকল রাজ্যের মানুষ যোগদান করেছিলেন।
উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্য থেকে শুরু করে পশ্চিম-দক্ষিণ সহ সকল অংশের মানুষ স্বাধীনতা লাভের আকাঙ্খায় উদগ্রীব হয়ে এগিয়ে এসেছিলেন দেশকে স্বাধীন করার জন্য।
স্বাধীনতার পটভূমি, Independence background
ভারতবর্ষে একদিকে চলছিল ব্যাপক গণ-আন্দোলন, ইংরেজদের বিরুদ্ধে আজাদ হিন্দ ফৌজের আগ্রাসন, নৌ বিদ্রোহ; আর অন্যদিকে ইংরেজরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধাক্কা সামলাতে না পেরে ভারতবর্ষকে স্বাধীনতা দানে বাধ্য হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত স্বাধীনতার পূর্বে ভারতবর্ষ ভারত ও পাকিস্তান এই দুইটি দেশে ভাগ হয়ে যায়। অবশেষে দীর্ঘ ২০০ বছরের প্রতীক্ষার পর ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট মধ্যরাত্রে ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করে। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৫ই আগস্ট জওহরলাল নেহেরু তিরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামের বাঙালিদের ভূমিকা, Role of Bengalis in freedom struggle
বাংলার সুদীর্ঘকালের ইতিহাসে চোখ ফেরালে দেখা যায় যে, ভারতের নবজাগরণ শুরু হয়েছিল বাংলাতেই। প্রথম নবচেতনার উদ্বোধন করেছিলেন রাজা রামমোহন রায়। অন্যদিকে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র ‘বন্দেমাতরম’ মন্ত্র দিয়ে বাঙালিদের জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। ক্রমে সিপাহী বিদ্রোহ, নীলচাষ বিদ্রোহ, স্বাধীনতার আকুতিকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল। প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে বাঙালিরাও পরাধীনতার জ্বালাকে প্রকাশ করেছিল।
১৯০৫ সালে লর্ড কার্জন বাংলা ভাগ করতে চাইলে বাঙালিরা এর প্রতিবাদ জানায়। সভা, সমিতি, মিছিলের মধ্য দিয়ে এই প্রতিবাদ আরও গর্জে উঠে। কবিরা শুরু করেন বিদ্রোহী কবিতা রচনা, রচিত হয় দেশাত্মবোধের গান। স্বদেশী আন্দোলনের সময় থেকেই রবীন্দ্রনাথ জননায়ক হয়ে উঠেছিলেন। তিনি স্বদেশী চেতনায় বহু মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
গান্ধীজিরর সত্যাগ্রহ আন্দোলন, লবণ আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলনও বাঙালি দেশ প্রেমিকের সহযোগিতায় এক অন্য মাত্রা নেয়। এছাড়াও ১৯৩০ সালে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে অবিভক্ত বাংলায় চট্টগ্রামে শুরু হয় সশস্ত্র সংগ্রাম। তৈরি হয় স্বদেশী সরকার। ১৯৪২ সালে দেশ জুড়ে শুরু হয় গণ বিপ্লব। তমলুকে মাতঙ্গিনী হাজরা ব্রিটিশ পুলিসের গুলিতে নিহত হন।
বাংলায় প্রথম শহীদ হন ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী। স্বাধীনতা লাভের জন্য বাংলার বহু বিপ্লবী তথা বীরাঙ্গনা আত্মবলীদান দেয়, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বাঘা যতীন, বিনয়-বাদল- দীনেশ, মাতঙ্গিনী হাজরা, সূর্যসেন, প্রীতিলতা, রাসবিহারী বসু, চারুচন্দ্র বসু, কল্পনা দত্ত, সুশীল সেনগুপ্ত, বসন্ত বিশ্বাস প্রমুখ; এছাড়াও আরও কত বিপ্লবী বাঙালি নিজের প্রাণকে আহুতি দিয়েছিলেন দেশের স্বার্থে তার কোন হিসেব নেই। তাই অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে বলতে হয় যে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য বাঙালির অবদান অনস্বীকার্য তথা এই স্বাধীনতা সংগ্রামের সিংহভাগই ছিল বাঙালি।
উপসংহার, Conclusion
স্বাধীনতা দিবস এক অত্যন্ত আনন্দের দিন। তেমনই স্বাধীনতা সংগ্রামের আমাদের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল সময় ছিল যা আজ আমাদেরকে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার দিয়েছে। আমরা প্রতিবছর ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্দেশ্য শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি।
দেশের প্রধানমন্ত্রী এইদিনে দিল্লির লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। আমাদের সর্বদা মনে রাখা উচিত যে, যে স্বপ্ন আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীরা দেখেছিলেন আমরা সেগুলিকে সার্থক করে তুলবো। সকলের মনে যেন এই কথা উচ্চারিত হয়,
“ভারত আবার জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে।।” দেশকে উন্নত করার চেষ্টায় ক্রমাগত কাজ করে যেতে হবে, দেশের স্বার্থে কাজ করে যাওয়া আমাদের কর্তব্য। এভাবেই আমরা বিশ্ব দরবারে নিজের শির উচুঁ রাখতে সক্ষম হব।
- 1 ভারতের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আসার ঘটনা, The incident of coming under the chain of subjugation of India
- 2 ভারতবাসীর স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা, Indian people’s desire for freedom
- 3 বিপ্লবীদের আত্মবলিদান, Self-sacrifice of revolutionaries
- 4 স্বাধীনতার জন্য ব্যাপক গণ-আন্দোলন, Massive mass movement for independence
- 5 স্বাধীনতার পটভূমি, Independence background
- 6 স্বাধীনতা সংগ্রামের বাঙালিদের ভূমিকা, Role of Bengalis in freedom struggle
- 7 উপসংহার, Conclusion
Oindrila Banerjee
Oindrila Banerjee, a master's graduate in Modern History from Calcutta University, embodies a diverse range of passions. Her heart resonates with the rhythm of creative expression, finding solace in crafting poetic verses and singing melodies. Beyond her academic pursuits, Oindrila has contributed to the educational realm, serving as a teachers' coordinator in a kindergarten English medium school. Her commitment to nurturing young minds reflects her belief in the transformative power of education. Oindrila's guiding principle in life, encapsulated in the motto, "There are two ways of spreading light: to be the candle or the mirror that reflects it,"
Recent Posts
Breathe শব্দটির‘র আসল অর্থ সাধারণ উদাহরণ এবং সংজ্ঞা সহ
Breath কথাটি সকলেরই পরিচিত একটি শব্দ। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা শব্দটির‘র আসল অর্থ...
পনিরের বিভিন্ন রেসিপি, Different recipes of paneer
পনির একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার যা অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান...
স্বাধীনতা দিবস রচনা ২০২২ (PDF সহ) | Independence Day Essay in Bengali
৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজকে আমরা তৃতীয়, চতুর্থ ও ৫ম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ১০০ থেকে ২০০ শব্দের স্বাধীনতা দিবস রচনা PDF সহ নিয়ে এসেছি। (Independence Day Essay, Paragraph in Bengali 2022 With PDF)
15 আগস্ট স্বাধীনতা দিবস রচনা:- ভারতের ইতিহাসে ১৫ ই আগস্ট একটি গৌরবময় দিন। এই দিনটার পেছনে রয়েছে হাজার হাজার বীর সংগ্রামীদের বলিদান। তাদের বলিদানের কারণেই ভারতবর্ষ আজ ২০২২ সালে বিশ্ব মঞ্চে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছে। ভারতের বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীরা যেমন আমাদেরকে স্বাধীনতা এনেদিয়েছে ঠিক তেমনি ভারতের বীর সন্তানেরা বর্ডারে এই স্বাধীনতাকে প্রতিনিয়ত রক্ষা করে চলেছে। আজ স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ উপলক্ষে আমরা আপনাদের জন্য স্বাধীনতা দিবসের রচনা সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে এসেছি।
- নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী
- দ্রৌপদী মুর্মু জীবনী
স্বাধীনতা দিবস রচনা – (Independence Day Essay in Bengali)
ভারত দীর্ঘকাল একটি পরাধীন রাষ্ট্র ছিল এবং এই পরাধীনতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বলিদান দিতে হয়েছে হাজার হাজার বীর সংগ্রামীদের। তাদের বলিদানের কারণেই ১৯৪৭ সালে ১৫ ই আগস্ট ভারত বিশ্ব মঞ্চে এক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে দঁড়াতে পেরেছিলো।
আজ ভারত বিশ্ব গুরু হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে। ১৯৭৪ সালেই ভারত একটি পরমাণু শক্তি সম্পূর্ণ রাষ্ট্র হয়ে উঠেছিল। বর্তমানে ভারত প্রায় ৩.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাথে বিশ্বের পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে। মেক ইন ইনডিডিয়া ও আত্মনির্ভর ভারতের মতো প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা আত্মনির্ভর হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছি। আজ ভারত ISRO মাধ্যমে মহাকাশেও নিজের প্রতিভার ছাপ ফেলেছে। তবে এই সকল সফলতার পেছনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো আমাদের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার ইতিহাসের।
স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাস (২০০ শব্দে)
ভারতের স্বাধীনতার পেছনে রয়েছে একটি বৃহৎ এবং বিস্তারিত ইতিহাস। রয়েছে হাজার হাজার মানুষের বলিদান। স্বাধীনতার সকল গুরুত্ব পূর্ণ ইভেন্ট গুলো নির্দিষ্ট সাল ও তারিখের সাথে নিম্নে দেওয়ার রইলো।
- ১৭ শতকের দিকে, ইউরোপীয় বণিকরা ভারতে তাদের আউটপোস্ট তৈরি করতে শুরু করে।
- ১৭৫৭ সালে বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার সেনাবাহিনী ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে এবং এই যুদ্ধে সিরাজ পরাজিত হন। এর পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সম্পূর্ণরূপে ভারত দখল করে নেয়।
- ১৭৬৪ সালের যুদ্ধে ব্রিটিশরা জিতে যায়, যার ফলে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার প্রশাসনে ব্রিটিশ শাসনের আধিপত্য স্থাপন হয়।
- ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ:- ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল, যা সিপাহী বিদ্রোহ নামেও পরিচিত, এই বিদ্রোহে প্রথমবারের মতো ভারতীয়রা ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছিল।
- ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসর প্রতিষ্ঠা করা হয়।
- ১৯১৭ সালে, গান্ধীজী চম্পারণের নীল কৃষকদের একটি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন।
- ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ড পরে অহিংসা অসহযোগ আন্দোলনের সূচনা হয়।
- ১৯২০ সালে, মহাত্মা গান্ধী কংগ্রেস প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব নেন এবং অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন।
- ১৯২১ সালে, সুভাষ চন্দ্র বসু ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিতে ইংল্যান্ডে তার উচ্চ বেতনের আইসিএস এর চাকরি ছেড়ে ভারতে ফিরে আসেন।
- ২৬ শে জানুয়ারী, ১৯৩০ সালে, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল সুভাষ চন্দ্র বসু দ্বারা আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন, যা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি নামেও পরিচিত।
- অল-ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি তাদের বোম্বে অধিবেশনে ৮ ই আগস্ট, ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু করে।
- দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভারতের স্বাধীনতার আইন পাস হয়। এই আইন অনুযায়ী ১৯৪৭ সালে ১৪ ই এবং ১৫ ই আগস্ট ব্রিটিশ ভারত, ভারত ও পাকিস্তানে বিভক্ত হয়ে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন হয়েছিল।
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব (১০০ শব্দে)
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব ভারতীয়দের কাছে তাদের জীবনের চেয়েও বেশি মূলবান। এই দিনে ভারতবর্ষ ব্রিটিশ শাসনের শৃঙ্খল থেকে স্বাধীনতা লাভ করেছিল। ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ভারতের জন্য একটি পুনর্জন্মের মতো ছিল। এই দিনে, প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে, লাল কেল্লায় ভারতের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। এই দিনে, ভারতীয়রা আবার বিশ্বগুরু হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলো।
আরো পড়ুন:- স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা
স্বাধীনতা দিবস রচনা Pdf ডাউনলোড
Independence day paragraph in bengali pdf টি ডাউনলোড করতে নিচের লিংকটিতে ক্লিক করুন।
👇 স্বাধীনতা দিবস রচনা pdf 👇
আরো পড়ুন:- স্বাধীনতা দিবসের ছবি
সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQ)
২০২২ সালের স্বাধীনতা দিবস ভারতের কত তম স্বাধীনতা দিবস?
২০২২ সালের স্বাধীনতা দিবস ভারতের ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট কি বার ছিল?
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট শুক্রবার ছিল।
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু।
স্বাধীন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
স্বাধীন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন রাজেন্দ্র প্রসাদ।
Leave a Comment Cancel reply
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.
16 Female Freedom Fighters of Bengal
The revolutionary activities & stories of female freedom fighters of Bengal are unknown to many. Men are typically the first to come to mind when discussing about Indian freedom fighters, such as Bhagat Singh .
Though there were other women activists who battled for the nation’s independence and played an equally essential role as men, we only know a handful of them. This article explores about strong Bengali women who led the Indian struggle for freedom/independence.
1. Bina Das
2. kamala das gupta, 3. labanya prabha ghosh, 4. kalpana datta, 5. suhasini ganguly, 6. matangini hazra, 7. sucheta kripalani, 8. begum rokeya sakhawat hossain, 9. pritilata waddedar, 10. vina mazumdar, 11. nanibala devi, 12. basanti devi, 13. suniti choudhury, 14. sarala devi chaudhurani, 15. bela mitra, the unsung female freedom fighter of bengal, 16. kalyani das, faqs on female freedom fighters of bengal.
- Who is called the "Fire Girl of Bengal"?
- Who is called "Gandhi Buri"?
- Who is called Bengal's "Jhansi Rani"?
What were some of the challenges faced by female freedom fighters in Bengal?
How are female freedom fighters from bengal celebrated and remembered today.
Born in Chittagong, then East Bengal, the daughter of a school teacher, she later migrated to South Calcutta where she grew up. Her father taught at Ravenshaw College in Cuttack, where the revolutionary Subhas Chandra Bose was a student. This led to the her involvement in the struggle for independence.
As a young revolutionary, Bina Das took up arms against the British Government. In a memoir, she describes her experience of shooting the British Governor of Bengal, Stanley Jackson. She was arrested afterwards, but the 5 bullets she had fired, had missed.
Despite this incident, she later beca me involved in the freedom struggle after her release from prison. She was inspired by her Gandhian father and was willing to risk her life for her country’s freedom. She was awarded the Padma Shri in 1960 and died on 26 December 1986. She inspired millions of young women to stand up for a cause.
You might also like to read about: Women Freedom Fighters of India .
It was her dedication to the cause of freedom that made her a celebrated freedom fighter of India. Born in Bikrampur, Dhaka, she was inspired by the nationalist ideas she encountered in her studies at Bethune College . She took up the cause of India’s independence and became an active member of the freedom struggle.
She took up the job of a manager in a hostel for poor women. Under the guise of the hostel, she stored and supplied bombs and bomb-making material. She was arrested numerous times but was released on bail every time due to lack of evidence. She is the one who supplied Bina Das with the revolver that she used to shoot at Governor Stanley Jackson.
In 1936, she was held under house arrest. In 1938, she joined the Indian National Congress from the Jugantar Party , a secret revolutionary trend. She died at the age of 93.
Also read: Famous Slogans of Female Freedom Fighters .
Labanya Prabha Ghosh was a prominent freedom fighter of India. She spent her life fighting with nationalists for India’s freedom. Born in Purulia district, West Bengal, Ghosh was arrested and imprisoned several times during the Quit India Movement.
She became an active member of the Bhasha Andolan , which emerged after the Partition of India and the forceful imposition of Hindi on Bengali-speaking communities in Manbhum, which was cut off from Bengal.
She was homeschooled and taught by her father who was imprisoned by the Purulia district government for participating in the Non-Cooperation Movement in 1921. After completing her prison term, Ghosh became a prominent member of the West Bengal Legislative Assembly. Her son, Arun Chandra Ghosh, was also a freedom fighter.
Later in her life, she lived in poverty and suffered from failing eyesight, speech problems, and economic hardships. Sadly, she passed away on April 11, 2003.
If you’re liking the insightful information in this blog, our blog on First Women Freedom Fighter of India might also help in your preparation.
Kalpana Datta was born in Sripur in 1913. She completed her matriculation in 1929 & enrolled in Bethune College in Kolkata to study science. She then joined the Chhatri Sangha , which later became an important part of the Indian freedom movement. After graduating from Bethune, Datta married Puran Chand Joshi, the Communist party’s general secretary.
While growing up in a middle-class family, Kalpana was influenced by the example of Khudiram Bose and the courage of Kanailal Dutta . During her six-year imprisonment, she was exposed to communism. She read Marx and Lenin and critically analyzed political positions. Her efforts won her recognition & her memoir was published in 1945.
She went on to join the Communist Party of India and became a leader in the armed resistance movement. In 1946, she contested the Bengal Legislative Assembly elections. Her life story has inspired many women to follow the path of courage & perseverance. She died in 1995.
Also read: Female Freedom Fighters of Tamil Nadu .
She was born on 3rd February 1909, to Abinashchandra Ganguly and Sarala Sundara Devi. She spent her youth in Khulna and Dhaka. During her teenage years, Ganguly developed sympathies for the revolutionaries. During her early twenties, she began working as a teacher at a deaf & dumb school in Calcutta.
Ganguly also later joined the Chhatri Sangha. She was an associate of Bina Das. She was detained from 1932 to 1938 & after her release, she joined the Communist Party. She was again arrested between 1942-1945 for providing shelter to Hemanta Tarafdar. Due to her activities affiliated with communism, she remained in jail even after India’s independence. She died following a road accident in 1965.
You might also like to read our article on Women Freedom Fighters of Karnataka .
Matangini Hazra was an ardent follower of Mahatma Gandhi . In 1905, she became active in the Indian Independence Movement. She was inspired by Mahatma Gandhi, who had been imprisoned for his agitation against British rule. She also took part in the Civil Disobedience Movement, where she was arrested for breaking the Salt Act.
Her early life was a life of poverty. She was a child bride as she had got married to a rich widower named Trilochon Hazra at the age of 12. Although she lost her husband at a young age, Matangini dedicated her life to serving others. During the Quit India Movement in August 1942, she was arrested for disobeying British salt laws.
In the early 1900s, the Nationalist movement began to gain momentum. Mahatma Gandhi traveled extensively throughout the subcontinent to spread awareness of the freedom movement. Hazra was a staunch follower of Gandhi, earning her the nickname “Gandhi Buri.”
After her release from prison, she tirelessly nursed people who had contracted smallpox . She was severely injured by a police baton charge while attending the sub-divisional conference of the Indian National Congress. At 73 years of age, she led a crowd of 6 thousand people to take over the Tamluk police station and was shot dead by the British Police.
Read also: Female Freedom Fighters of Maharashtra .
It’s difficult to imagine Indian history without the presence of the late Sucheta Kripalani. Born in Ambala, she grew up in a Bengali-Brahmo family. Although shy and reserved as a child, her steely will and exemplary leadership qualities were molded by her experiences growing up in patriotic India.
Her autobiography, An Unfinished Autobiography, provides a detailed account of the defining moments in her life. She studied at Punjab University and Indraprastha College and became a professor of Constitutional history at the Hindu University in Banaras. Her husband was the leader of the Indian National Congress.
After a brilliant educational career, Sucheta Kripalani married a leading member of the Indian National Congress. Although Mahatma Gandhi opposed their marriage, it was eventually accepted. She was active in the Quit India movement and during the riots around the Partition of India, she worked with Mahatma Gandhi.
She served as the first head of the Women’s department of Congress. She later went on to establish the All India Mahila Congress and worked closely with Mahatma Gandhi.
Despite challenges, Kripalani was one of the few women elected to the Constituent Assembly in 1946. This assembly consisted of 299 members, and Kripalani was one of only 15 women. Other prominent women in the assembly included Sarojini Naidu, Vijayalakshmi Pandit, and Ammu Saminathan.
She was also an MP for New Delhi and later became Minister of Labour, Community Development, and Industry in the state government of Uttar Pradesh. In 1963, Kripalani became India’s first female Chief Minister for the state of Uttar Pradesh.
Related Article: Female Freedom Fighters of Punjab .
Begum Rokeya Sakhawat was an outspoken supporter of women’s education & a political activist. She helped start a high school for girls. She also wrote many novels and short stories. She was born on 9 December 1880 and died on 9 December 1932. Her birthdate is commemorated as “Begum Rokeya Day” in Bangladesh.
Born in Pairabondh, present-day Bangladesh, Rokeya’s family was progressive and educated. Her husband, Khan Bahadur Syed Sakhawat Hossain encouraged Rokeya to study and publish her writings in Indian periodicals. Unfortunately, he developed acute diabetes and died. But even after her husband’s death, Rokeya’s work continued to impact society.
As an activist, Begum Rokeya worked to establish an Islamic women’s association to promote the rights of Muslim women in India. The association held many conferences and debates about the status of women and promoted reforms.
She believed that the slow development of Muslims in British India was due to conservatism. She worked to correct this by organizing social reforms based on the teachings of Islam.
In addition to her social work and writing, Begum Rokeya was also a passionate Muslim feminist. She struggled with gender inequality and religious orthodoxy while living in an upper-class Bengali family. Her father was not willing to allow Rokeya to attend college and pursue her education. She did so on the sly and became a well-known writer of Bengali and English.
Also read our article on the freedom fighter Aruna Asaf Ali .
Pritilata Waddedar was a young woman when she became a freedom fighter in India. She studied philosophy at Bethune college in Calcutta and met the revolutionary leader Surya Sen , who was affectionately called Master Da.
Waddedar joined Surya Sen’s underground group. At first, Sen’s group members objected to her membership but changed their minds after she demonstrated her commitment to the cause of India’s freedom. Her dedication to the cause allowed her to carry out her assignments undetected.
She became a symbol of women revolutionaries and was honored with a posthumous graduation certificate in 2012.Her husband, Nirmal Sen, was killed in Dhalghat while evading arrest.
As a teenager, Pritilata was a bright student. Her father worked as a clerk in the municipal offices. Her father gave her an excellent education. He often told Pritilata that his hopes for her were entwined with hers. Pritilata was only 21 years old when she died. She was a young freedom fighter in the making and died a martyr.
You might also like to read about: Female Freedom Fighters of Goa .
Born in Kolkata, in 1927, Vina was the youngest child of a Bengali family. Her father was an engineer, and her uncle was the noted historian R.C. Majumdar . She attended St. John’s Diocesan Girls’ Higher Secondary School and later attended the Women’s College of the Banaras Hindu University and the Ashutosh College in Calcutta.
During her time in college, she became active in women’s empowerment and organized a trip for girl students to meet Mahatma Gandhi. She shepherded the landmark Report of the Committee on the Status of Women in India. But her vision was inclusive, and she drew men as students, collaborators, and mentors.
In a society that values equality, women are the most important part of any democracy, and Mazumdar believed this to be the most important part of human rights and social justice.
She was born into a Bengali-speaking family and attended prestigious colleges in Calcutta, Benares, and Oxford. She obtained her D.Phil. at Oxford University , and taught political science at Berhampur and Patna. She also became a member of the UGC Secretariat and a fellow of the Indian Institute of Advanced Studies in Shimla. She later went on to be a noted journalist and professor.
In addition to her activism, Mazumdar was a pioneer of women education in India. She was also one of the first women to combine academic scholarship with activism, leading to the formation of the Indian Association for Women’s Studies. In 1982, she became a founding member of the association, which now holds national conferences to promote Women’s Studies.
Expand your knowledge about the struggle for Indian Independence with our blog on Female Freedom Fighters of Telangana .
Nanibala Devi was a prominent freedom fighter from Bengal. She was born in the family of Surya Kanta Banerjee of Howrah. She became acquainted with freedom fighters when she was in refuge with Amarendranath Chatterjee .
She used to smuggle letters to imprisoned freedom fighters. She also rented accommodations for freedom fighters. She was very low-key but once her cover was blown and she was caught in Peshawar. She caught cholera there and was subjected to inhuman torture by the British police.
Read also: South Indian Women Freedom Fighters .
One of the most influential freedom fighters in India is Basanti Devi. Born in Calcutta on 23rd March 1880, she was part of the Khilafat Movement and Civil disobedience campaign. She was also a member of the Nari Karma Mandira.
Her husband, Chittaranjan Das , died on 16 June 1925 and she later took over his weekly magazine, Bangalar Katha. She received the Padma Vibhushan award in 1973.
Following her husband’s death, she took part in many social movements. She attended the Nagpur session of the Indian National Congress. In 1925, she led a group of five women to sell khadi in the city. Basanti was warned by Subhash Chandra Bose not to sell khadi because it could lead to arrest. But this small group continued to grow and the movement gained momentum.
In 1921, she joined the Indian independence movement. She was influenced by Mahatma Gandhi and took part in the Non-Cooperation Movement . She was arrested several times for her activism and remained active in social issues after independence.
You might also like to read about: Women Freedom Fighters of Kerala .
She was born on December 27, 1917, in the village of Borjhar in the Nagaon district of Assam. Suniti Choudhury was the daughter of renowned freedom fighter, Satish Chandra Choudhury, who was a close associate of Netaji Subhash Chandra Bose.
Suniti Choudhury actively participated in India’s struggle for independence from the British Empire. She joined the Indian National Congress and worked closely with leaders like Mahatma Gandhi, Jawaharlal Nehru , and Subhash Chandra Bose. She was also a member of the Indian National Army (INA) and served as a secretary to Captain Lakshmi Sahgal , who was the commander of the Rani of Jhansi Regiment .
Suniti Choudhury played a crucial role in organizing protests and agitations against the British Raj. She was actively involved in the Quit India Movement and was imprisoned several times by the British authorities for her participation in the freedom struggle.
After India gained independence in 1947, Suniti Choudhury continued to work for the welfare of society. She was actively involved in the relief and rehabilitation efforts during the Bengal Famine of 1943 and worked to promote education and healthcare in rural areas.
In recognition of her contributions to the nation, Suniti Choudhury was awarded the Padma Shri, one of India’s highest civilian honors, in 2002. She passed away on August 11, 2012, at the age of 94. Her legacy as a brave freedom fighter and a committed social worker continues to inspire generations of Indians.
Also read: Female Freedom Fighters of Uttarakhand .
She was born on September 9, 1872, in Bhagalpur, Bihar. She came from a progressive family and was educated at home by her father, who was a scholar of Sanskrit and Persian. Sarala Devi Chaudhurani actively participated in India’s freedom struggle and played a significant role in the Indian National Congress.
She was a close associate of leaders like Mahatma Gandhi, Subhash Chandra Bose, and Rabindranath Tagore . She was an active participant in the Non-Cooperation Movement, the Civil Disobedience Movement, and the Quit India Movement.
Sarala Devi Chaudhurani was also a strong advocate of women’s rights and worked to promote education and social reform for women. She founded the Bharat Stree Mahamandal in 1910, an organization dedicated to women’s empowerment and the promotion of women’s rights.
Sarala Devi Chaudhurani was an accomplished writer and scholar. She wrote extensively on women’s issues and published several books, including ‘Sita Devi the Queen of Oudh’ and ‘A Nation in Making.’
In recognition of her contributions to the nation, Sarala Devi Chaudhurani was awarded the Padma Bhushan , one of India’s highest civilian honors, in 1955. She passed away on August 18, 1945, at the age of 73.
Also read our article on Women Freedom Fighters of Odisha .
Bela Mitra was a prominent social reformer and feminist from Bengal, India. She was born on December 1, 1892, in Kolkata (formerly Calcutta), and was educated at the Bethune School, which was one of the first schools for girls in India.
Bela Mitra played a significant role in the Indian women’s movement and worked tirelessly to improve the status of women in Indian society. She was a member of the All India Women’s Conference and was actively involved in the Indian National Congress. She also played a crucial role in the women’s suffrage movement and worked to secure the right to vote for Indian women.
Bela Mitra was a prolific writer and published several articles and books on women’s issues. Her writings focused on topics such as women’s education, women’s health, and women’s rights. Her most famous book is ‘Hawa Badal’ (Change of Winds), which is an autobiographical account of her life and her experiences as a feminist and social reformer.
Bela Mitra’s contributions to the Indian women’s movement were widely recognized, and she was awarded the Padma Bhushan, one of India’s highest civilian honors, in 1968. She passed away on July 24, 1972, at the age of 79.
Her work played a crucial role in improving the status of women in Indian society and paved the way for future generations of women to actively participate in public life and contribute to the development of the nation.
- Female National Leaders of India .
- Female Social Reformers of India .
Above-mentioned were some of the well known female freedom fighters of Bengal. In this section, we’ll read about the unsung female freedom fighter of Bengal.
Kalyani was born in 1907 and was a member of the Chhatri Sangha, an organization of women in Kolkata. She was the sister of Bina Das. She joined the Bengal Volunteers Corps during 1928-29. Kalyani Das became the Vice President of the All Bengal Students’ Association .
On September 5, 1933, she was arrested for participating in the Civil Disobedience Movement. She was later transferred to the Hijli and Midnapore jails. She was released on unconditional parole in April 1938. She continued to participate in the Quit India Movement, organizing various protests and strikes.
You might also like to read about: Unknown Female Freedom Fighters of India .
Bengal was home to several female freedom fighters who played a significant role in India’s struggle for independence from British rule. These female freedom fighters defied societal norms and played a crucial role in the fight for India’s freedom.
Their legacy continues to inspire generations of Indians, and their contributions to the nation will always be remembered.
Who is called the “Fire Girl of Bengal”?
Bina Das was known as the Fire Girl of Bengal. At the age of around 21 years, Bina Das tried to assassinate Governor of Bengal Stanley Jackson.
Who is called “Gandhi Buri”?
Matangini Hazra was affectionately referred to as Gandhi Buri, which is Bangla meaning old lady Gandhi. This was because she was a staunch follower of Mahatma Gandhi.
Who is called Bengal’s “Jhansi Rani”?
Bela Mitra is called Bengal’s “Jhansi rani” as she had joined the Indian National Army and worked in Jhansi Rani Brigade. She gave shelter to the revolutionaries who came outside of India, operated the transmitter of Azad Hind Radio, and sent information to Singapore from Kolkata from January to October in 1944. In 1947 Smt. Mitra formed a social organization, Jhansi Rani Relief Team.
Female freedom fighters in Bengal faced several challenges, including societal restrictions on women’s participation in public life, limited access to education and resources, and the threat of imprisonment or violence by the British authorities.
Female freedom fighters from Bengal are celebrated and remembered through various means, including the naming of streets, institutions, and buildings after them, the publication of books and articles on their lives and contributions, and the celebration of their birthdays and anniversaries. They continue to inspire generations of Indians to stand up for their rights and fight for justice and equality.
IMAGES
VIDEO
COMMENTS
Freedom Fighters of Bengal: স্বাধীনতার লড়াইয়ে অবদান রেখেছিলেন এই ৮ বাঙালি অগ্নিকন্যা, কারা জানেন? By Dipanwita Bandopadhyay. Updated: Sunday, August 13, 2023, 23:42 [IST]
In the Liberation war of Bangladesh, 1971 against Pakistan every freedom fighters contribution is undeniable. Each second in the time of war has one or more story on about the mass people, environment, and the persons who fight …
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম রচনা, India’s Freedom Struggle essay in Bengali. Written by Oindrila Banerjee in বাংলা রচনা. Join Our Whatsapp Channel.
A freedom fighter is a person who fights for the freedom of their country or nation. Bangladesh has a rich history of freedom fighters who fought against the Pakistani Army during the Liberation War in 1971.
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার - স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলার প্রথম মহিলা শহিদ। জন্ম ১৯১১ সালে। ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৩২, চট্টগ্রামের পাহাড়তলি ইউরোপিয়ান …
স্বাধীনতা দিবস রচনা – (Independence Day Essay in Bengali) ভারত দীর্ঘকাল একটি পরাধীন রাষ্ট্র ছিল এবং এই পরাধীনতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বলিদান দিতে ...
Essay on Freedom মানুষ স্বাধীনভাবে জন্মগ্রহণ করেছিল, প্রকৃতির মাঝে, এবং ...
Here are eight powerful women freedom fighters who have Bengali roots and whose noteworthy role in the Indian freedom movement cannot be neglected. Freedom Struggle 8 Bengali Women. 1. Bina Das (1911-1986) Bina …
Female freedom fighters in Bengal faced several challenges, including societal restrictions on women’s participation in public life, limited access to education and resources, and the threat of imprisonment or violence …
16 Female Freedom Fighters of Bengal. The revolutionary activities & stories of female freedom fighters of Bengal are unknown to many. Men are typically the first to come to …